সর্বশেষ

ছোটবেলাতেই জন্মদিনের আয়োজন আনন্দের ছিল: স্পিকার শিরীন শারমিন

প্রকাশ :


/ ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী /

২৪খবরবিডি: জন্মদিনের আয়োজন ছোট বেলাতেই আনন্দের ছিল জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর। তবে এখনও নিজের জন্মদিনে পরিচিতজনদের শুভেচ্ছা জানানোর বিষয়টি উপভোগ করেন দেশের প্রথম এই নারী স্পিকার। এখন তেমন ঘটা করে জন্মদিন পালন না করলেও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইরে কোথাও ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন তিনি।'
 

'এমনকি সময়-সুযোগ পেলে এখনও এ দিনটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যান তিনি। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর জন্মদিন। নিজের ৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৪খবরবিডির কাছে অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, 'জন্মদিন ছোট বেলায় যতটা আকর্ষণীয়, বড় হয়ে সেটা থাকে না।' এ সময় তিনি হেসে বলেন, 'বয়স তো বাড়তে থাকে। আর বয়স বেড়ে যাওয়াটা কতটা সুখকর.. সেটাও ভাবতে হয়... (হাসি)।' ছোট বেলায় জন্মদিনটা অনেক ঘটা করে পালন করা হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বাবা-মা বেশ আয়োজন করতেন। স্কুলের সহপাঠীদের আমন্ত্রণ জানানো হতো। সবাই মিলে একসাথে খেলাধুলা, হৈ-হুল্লোড় করতাম; খুবই মজা হতো। দিনটা খুবই সুন্দর কাটতো, ছোট বেলার মতো এখন সেভাবে আয়োজনটা হয় না। সন্তানরা পাশে থাকলে আয়োজন করে। তারা দেশের বাইরে (বিদেশে পড়াশোনা করেন) থাকলে, সেই আয়োজনটা হয়তো হয় না। তবে এই দিনে সন্তানদের পিতাকে সবসময় পাশে পাই।' স্পিকার ও এর আগে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য থাকাকালে সহকর্মীরা তার জন্মদিন পালন করেন উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, 'কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীরা উইশ করেন। জন্মদিনটা মনে রেখে আমাকে উইশ করে, এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। জন্মদিনটা কর্মদিবসের দিন হলে সংসদের সবাই ঘটা করে পালন করতে চান। তবে আমি নিরুৎসাহিত করি। ফুল দিয়ে আমাকের উইশ করা, মিষ্টি বিতরণের মধ্যেই এটা সীমাবদ্ধ থাকে।' আর কর্ম ব্যস্ততায় দেশের বাইরে থাকলে সহকর্মীরা এই আয়োজনও করতে পারেন না বলে জানান তিনি।'


'তিনি আরও বলেন, 'আমার নির্বাচনি এলাকার জনগণও কেক কাটাসহ নানাভাবে আমার জন্মদিন উদযাপন করতে। আমি সেটাও নিরুৎসাহিত করি। তারা দোয়া মাহফিল, এতিমদের খাওয়ানো এ ধরনের কার্যক্রমও হাতে নেন।' পরিচিতরা এসএমএস ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উইশ করেন উল্লেখ করে শিরীন শারমিন বলেন, 'দেশে থাকলে অনেকেই আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান, ভালোই লাগে। অনেকে এসএমএস ও হোয়াটঅ্যাপ ম্যাসেজসহ নানাভাবে উইশ করেন।' পারিবারিকভাবে দিনটি কীভাবে কাটান জানতে চাইলে স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, 'জন্মদিনে কখনও

ছোটবেলাতেই জন্মদিনের আয়োজন আনন্দের ছিল: স্পিকার শিরীন শারমিন

কখনও বাড়িতে বিশেষ রান্না করা হয়। আবার পরিবারের সঙ্গে বাইরে কোথাও খেতে যাওয়া হয়।' স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পরও তিনি সুযোগ করে বাইরে খেতে যাওয়ার বিষয়টি মিস করেন না বলে জানান শিরীন শারমিন। তিনি বলেন, 'অনেক সময় আত্মীয়-স্বজন বাড়িতে চলে এলে হয়তো বাইরে যাওয়া হয় না। তাদের জন্য ঘরেই আয়োজন করা হয়। বাইরে খেতে যাওয়ার বিষয়টি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।' এবারের জন্মদিনে বাইরে খেতে যাবেন কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।'
 

'বাংলাদেশের প্রথম নারী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হন। ৪৬ বছর বয়সে তিনি সর্বকনিষ্ঠ স্পিকার হিসেবে সাবেক স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি রংপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মত জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন। ড. শিরীন ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। তিনি সফলতার সাথে তিন বছর মেয়াদের এ দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম-এ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন ড. শিরীন শারমিন। পরে যুক্তরাজ্যের অ্যাসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে মানবাধিকার ও সাংবিধানিক আইন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন ফার্মাসিউটিক্যাল কনসালটেন্ট। দুই সন্তানের জননী ড. শিরীন শারমিনের মেয়ে লামিসা শিরীন হোসাইন ও ছেলে সৈয়দ ইবতেশাম রফিক হোসাইন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেন।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত